Recent

সবচেয়ে বাজে নামের যত মোবাইল ফোন

স্মার্টফোনের এই যুগে একে নিয়ে মানুষের পাগলামির শেষ নেই। কেউ ফোনের পারফরমেন্স দেখে কেনেন। কেউ বা পছন্দের ব্র্যান্ডের ভক্ত। আবারো অনেকে দেখেন ফোনটি দেখতে কতটা সুন্দর। কিন্তু এর নাম নিয়ে কি কেউ কখনো ভাবেন? আসলে ভাবতে হয় বিশেষজ্ঞদের। তারা জানিয়েছেন কয়েকটি স্মার্টফোনরে কথা যাদের নামগুলো সবচেয়ে বাজে নাম বলে বিবেচিত হয়েছে।
১. জেডটিই এক্সন ৭ : নির্মাতা এক্সন ২ থেকে ৬ মডেল পর্যন্ত এড়িয়ে সরাসরি ৭ এনেছে। মূলত স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এবং আইফোন ৭-এর সঙ্গে তাল মেলাতেই এ কাজ করেছে তারা।
২. এলজি কে৮ ভি : এত কঠিন মডেলের কোনো অর্থ হয় না। 'ভি' দিয়ে ভেরিজন ক্যারিয়ারকে বোঝা হয়েছে। কিন্তু মডেলের নামের সঙ্গে অক্ষরটি সত্যিই বিদঘুটে।
৩. ব্ল্যাকবেরি প্রিভ : প্রতিষ্ঠানের প্রথম অ্যান্ড্রয়েড ফোন। প্রিভ দিয়ে 'প্রিভিলাইজ' কিংবা 'প্রিভ-আহ-চি' বোঝানো হয়েছে।
৪. ওয়ানপ্লাস ওয়ান এবং ওয়ানপ্লাস ২ : ওয়ানপ্লাস ২ মডেল নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে মডেলে নাম যোগ হয়েছে ওয়ানপ্লাস ওয়ানে। এরপর ২ কেমন যেন মনে হয়।
৫. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৬ এজ+ : এমন কটু নাম দিয়ে কি বোঝাতে চাইছে স্যামসাং? এমনিতেই এটি গ্যালাক্সি নোট ৬ প্লাস বলেই মনে হয়।
৬. মটোরোলা মটো জি : এর নামে একটিই সমস্যা। জি ২ বা জি ৩ দিয়ে নামে পূর্ণতা এসেছে। কিন্তু মটো জি দিয়ে হঠাৎ করেই কিছু যেন শেষ হয়ে গেছে।
৭. ইয়েজ বিলি ৪.৭ : মায়ামির এই নির্মাতার বিলি সিরিজের ফোন। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নামানুসারে এই ফোন অদ্ভুত নাম পেয়েছে।
৮. এইচটিসি ওয়ান এম৮ হারমান কারডন : বেশ কঠিন একটি নাম। মুখ দিয়ে বেরোতে বেগ পেতে হয়। একটানা পাঁচবার নামটি উচ্চারণ বেশ পেরেশান করে দেবে।
৯. জেডটিই আইকনিক ফ্যাবলেট : এ ধরনের নাম ব্যবহারের আগে পণ্যের গুণগত বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আইকনিক ফ্যাবলেট বলা হলেও তা অনেক ফ্যাবলেটের ধারেকাছেও নেই।
১০. প্যানাসনিক এলুগা : মধ্যম মানের দারুণ একটি ফোন। কিন্তু বিদঘুটে অর্থহীন শব্দ ব্যবহার বেশ অবাক করে দেয়।
১১. এইচটিসি উইন্ডোজ ফোন ৮৫এক্স : স্মার্টফোনের নামে 'উইন্ডোজ ফোন' জুড়ে দেওয়া আর স্যামসাং গ্যালাক্সি অ্যান্ড্রয়েড ফোন নাম রাখা একই বিষয়। আসলে ফোনটি কোনো নামই পায়নি। এর অপারেটিং সিস্টমকে নাম হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১২. এইচপি প্রি ৩ : এর নাম উচ্চারণ করতে গেলে জিহ্বা বেশ পেঁচিয়ে যায়। এটা কখনোই আমেরিকার বাজারে বিক্রি হয়নি।
১৩. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ২, এপিক ৪জি টাচ : স্মার্টফোনের এটাই সবচেয়ে দীর্ঘ নাম। আসলে ক্যারিয়ার স্প্রিন্ট এর নামের সঙ্গে এপিক ৪জি টাচ দিয়ে দিয়েছে।
১৪. এইচটিসি চাচা এবং সালসা : ২০১১ সালের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে চাচা ফোনটির পরিচয় দেওয়া হয়। এটা আমেরিকান ক্যারিয়ারে স্ট্যাটাস নামে বিক্রি হয়। অদ্ভুত এই নাম ছাড়াও স্প্যানিশ নৃত্য সালসার নামেও একটি মডেল আনে নির্মাতা।
১৫. এলজি অপটিমাস ভ্যু : বড় পর্দার একটি ফোনকে অপটিমাস ভ্যু নামে ডাকা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু মানুষ একে ভ্যু না বলে ভিউ বলেই ডাকতে শুরু করে।
১৬. স্যামসাং মেসেজার : মেসেজ পাঠানোর সুবিধার্থে বাড়তি কিবোর্ড দিয়ে এই ফোনটি বের করেছিল স্যামসাং। ২০০৯ সালে বের হওয়া মোবাইলটিকে কেবল মেসেজ পাঠানোর যন্ত্র ভাবলেও ভুল হয় না। কারণ নামটা তাই বলছে।
১৭. ক্রিকেট এমএসজিএম৮ এবং টিএক্সটিএম৮ : মোবাইলে মেসেজিং যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তখন এই ফোনগুলো আসে। নামগুলো নিঃসন্দেহের বিদঘুটের তালিকায় যেতে পারে।
১৮. এলজি অপটিমাস ব্ল্যাক : বাজে নামের ফোনটি কালো রংয়ের। এটাই মোবাইলের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত রং। এ নামে ফোন বের করার কোনো মানে হয় না।
১৯. এইচটিসি ওয়ান : এর মানে কি? বিশেষজ্ঞের প্রশ্ন। যেখানে এইচটিসি ওয়ান এক্স, ওয়ান এক্স+, ওয়ান এক্সএল, ওয়ান ভি, ওয়ান ভিএক্স এবং ওয়ান এস রয়েছে। এদের মাঝে শুধুমাত্র ওয়ান ব্যবহারে অসম্পূর্ণ থেকে যায় এর নাম।
২০. এলজি চকোলেট : ফোনটি বানানো হয়েছে একটি চকোলেট বারের মতোই দেখতে। কিন্তু এই নামের মাধ্যমে পণ্য থেকে কোনো রেভিনিউ আসার কথা চিন্তা করা যায় না।

Discovery Bangladesh Designed by Templateism.com Copyright © 2014

Powered by Blogger.
Published By Blogger Templates20