লাবনি আর ফারিহা দুই বান্ধবী। একজন আরেকজনকে ছাড়া যেন থাকতেই পারে না। তারা ক্লাস নাইনে পড়ে। ক্লাসেও তারা একসাথে বসে। ঈদ আসলে তারা একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায় ঈদ কার্ড দিয়ে। এতে দুজনই খুশী। ঘটনাটা কাল্পনিক হলেও কয়েক বছর আগেও কিন্তু এটাই বাস্তব ছিল। ২০১০ সালের আগে এভাবেই একজন আরেকজন কে ঈদ কার্ড দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতো। বন্ধু-বান্ধবী, প্রেমিক যুগল এক কথায় পরিচিত কাছের সবাইকে এই ঈদ কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর একটা সৃজনশীল রীতি ছিল। তবে বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঈদ কার্ডের প্রচলন। হারিয়ে যাচ্ছে নয় হারিয়ে গেছে বলা যায়।
প্রযুক্তি মানুষের অনেক রীতিনীতি বদলে দেয়। ঈদ কার্ডের ক্ষেত্রেও বদলে দিয়েছে তা। আগে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ঈদ কার্ড ব্যবহার হলেও এখন মোবাইল এসএমএস বা ফেসবুকে মেসেজ করেই জানানো হয় ঈদের শুভেচ্ছা। মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে ছন্দ মিলিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা পাঠায় অনেকে। আবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক বা টুইটার একাউন্টে মেসেজের মাধ্যমে জানানো হয় ঈদ শুভেচ্ছা।
এসএমএস করার ক্ষেত্রে অনেকেই ছন্দ মিলিয়ে ঈদ শুভেচ্ছা জানান। আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক বা টুইটার একাউন্টে মেসেজের ক্ষেত্রে ‘ঈদ মোবারক’ লেখা সম্বলিত ছবি দিয়ে ঈদের শুভেছা জানায় অনেকেই। আবার মোবাইল এসএমএসের মত ছন্দ মিলিয়েও ঈদ শুভেচ্ছা জানানো হয় ফেসবুক বা টুইটারের মাধ্যমে।
প্রযুক্তির এ ব্যবহারের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে ঈদ কার্ডের প্রচলন। এখন ঈদ কার্ডের দোকানের দেখাও মেলা ভার। তবে কিছু কিছু এলাকায় এখনও দেখা যায় কয়েকটি ঈদ কার্ডের দোকান। আগের মত প্রচলন নেই বিধায় তাদেরকেও অলস সময় কাটাতে হয়।