এক নায়কতন্ত্র, পুঁজিবাদ ও নিপীড়নের ঘোর বিরোধী এবং বিশ্বের বহু দেশের অবহেলিত ও নিপীড়িত জনগণের কণ্ঠস্বর গেরিলা যোদ্ধা ও বিপ্লবী নেতা চে গুয়েভারা। আজকের এই দিনেই (১৪ জুন) জন্ম গ্রহণ করেই এই বিপ্লবী নেতা। আজ তাঁর ৮৮ তম জন্ম দিন। তাঁর পুরো নাম ‘অ্যারনেস্তো গেভারা দে লা স্যারনা’ ১৯২৮ সালে আর্জেন্টিনার রোসিও শহরে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। ৯ অক্টোবর ১৯৬৭ সালে ৩৯ বছর বয়সে বলিভিয়াতে মৃত্যুবরণ করেন “চে”।
কিউবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব, বলিভিয়ায় জাতীয় মুক্তিসেনার কান্ডারী চে গুয়েভারা। স্পেনিশ, বাস্ক ও আইরিশ বংশোদ্ভূত বাবা-মায়ের সন্তান “চে” কিছুটা বামপন্থি পরিবেশে বড় হন৷ ক্রীড়া, সাতার, ফুটবল ও দাবা খেলা ছাড়াও পড়ার প্রতি তাঁর ছিল গভীর আগ্রহ৷ তাঁর বাড়িতে ছিল তিন হাজারেরও বেশি বই৷
১৯৪৮ সালে বুয়েনস আইরেস বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিভাগে পড়শুনা শুরু করেন৷ এ সময়ই ভ্রমণের বাসনা জাগে তাঁর মনে৷ ১৯৫০ সালে একটি সাধারণ সাইকেলে ছোট একটি ইঞ্জিন সংস্থাপন করে বেড়িয়ে পড়েন চে৷ বহু মাস ধরে হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেন তিনি৷ আর্জেন্টিনা থেকে শুরু করে ল্যাটিন অ্যামেরিকার বহু প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেড়ান চে৷ এই ভ্রমণকালেই তাঁর নজরে পড়েছে দরিদ্র, ক্ষুধার্ত, লাঞ্ছিত ও নিপীড়িত মানুষের জীবন৷ আর সেই থেকেই ধীরে ধীরে বিদ্রোহের বীজ রোপিত হয় তাঁর মনে৷
এই ভ্রমণের পর আর্জেন্টিনায় ফিরে এসে ডাক্তারি শেষ করেন চে এবং পরবর্তী সময়ে মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন৷ শুধু চিকিৎসক হিসেবেই নন, মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে হাতে কলম ধরেছিলেন, সমান দক্ষতায় সেই হাতে অস্ত্রও চালিয়েছেন তিনি৷ ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। কিউবার সান্টা ক্লারার “চে”র সমাধি।
এই ভ্রমণের পর আর্জেন্টিনায় ফিরে এসে ডাক্তারি শেষ করেন চে এবং পরবর্তী সময়ে মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন৷ শুধু চিকিৎসক হিসেবেই নন, মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় যে হাতে কলম ধরেছিলেন, সমান দক্ষতায় সেই হাতে অস্ত্রও চালিয়েছেন তিনি৷ ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। কিউবার সান্টা ক্লারার “চে”র সমাধি।