রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্যানেলে থাকা সব প্রার্থীকেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেবে সরকার। হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৬ জুন সদ্য জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে প্যানেল প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করেছিল। প্যানেলভুক্ত প্রায় ২৩ হাজার প্রার্থী নিয়োগের অপেক্ষায় থাকলেও এদের নিয়োগে শূন্য পদের শর্ত জুড়ে দেওয়ায় সবাইকে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে প্যানেল প্রার্থীরা ক্ষোভ জানিয়ে আদেশ সংশোধনের দাবি জানান। শূন্য পদের বাইরেও অন্য পদগুলোতে প্যানেল শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে বৃহস্পতিবার নতুন আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৩ সালের আদেশ অনুযায়ী জাতীয়করণকৃত ২২ হাজার ৯২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিটিতে একটি করে প্রধান শিক্ষক ও চারটি সহকারী শিক্ষকের পদ রাজস্বখাতে সৃজন করা হয়েছে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। সৃজিত পদে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া যাবে। প্যানেল শিক্ষক ঐক্যজোটের সভাপতি রবিউল ইসলাম সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এতে সব প্যানেল প্রার্থীই খুশি, আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি (নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণ) নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকার। ওই সব বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দিতে পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল ৪২ হাজার ৬১১ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্য থেকে ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত ১০ হাজার ৫১৪ জন নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ হাজার ৯৯৫টি রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় বেশিরভাগ রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হলে প্যানেলে থাকা বাকিদের নিয়োগ ঝুলে যায়। এরপর আন্দোলনে নামেন এসব প্রার্থীরা। দীর্ঘদিন আন্দোলনে কাজ না হওয়ার প্রথমে প্যানেলভুক্ত ১০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিট আবেদন করে নিজেদের পক্ষে রায় পান। পরে এ বিষয়ে আরও ৪৯০টি রিট আবেদন হাই কোর্ট নিষ্পত্তি করে প্যানেলভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়।