এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দশটি কম্পিউটারের মধ্যে অন্তত ৪টি ম্যালওয়্যার আক্রান্ত বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে মাইক্রোসফট। সেখানে ২০১৬ সালের ম্যালওয়্যার সংক্রমণের বিশ্ব তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তান।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ম্যালওয়্যার ইনফেকশন ইনডেক্সে এই অঞ্চলের সেরা ম্যালওয়্যার থ্রেট এবং তার সংক্রমণের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাজারগুলোর সারিবিন্যাস করা হয়।
তালিকায় সবচেয়ে দৃশ্যমান তিনটি ম্যালওয়্যারের কথা উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে গ্যামারু নামের ম্যালিশাস কম্পিউটার ওয়ার্মটি বিভিন্ন খেলা এবং সামাজিক প্রকৌশলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে স্কিয়াহ এবং পিলস নামের ট্রোজানদ্বয় এতোটাই নিরীহভাবে অনলাইনে হাজির হয় যে, আপনি তা ইনস্টল থেকে বিরত থাকতে পারবেন না।
মাইক্রোসফট এশিয়ার আইপি এবং ডিজিটাল ক্রাইমস ইউনিটের আঞ্চলিক পরিচালক কেশব ঢাকাদ বলেন, ‘এই ম্যালওয়্যারগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে। তাছাড়া এগুলো আরও ম্যালওয়্যার ডাউনলোড এবং আপনার কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য ম্যালিশাস হ্যাকারদের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। তথ্যগুলো মাইক্রোসফট ম্যালওয়্যার প্রোটেকশন সেন্টার এবং মাইক্রোসফট সিকিউরিটি ইন্টিলিজেন্স রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী ম্যালওয়্যার ঝুঁকির শীর্ষ চারটি দেশই এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া যথাক্রমে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ ও নেপাল। তালিকায় অষ্টম অবস্থানে আছে ভারত।
গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যালওয়্যার সংক্রমণে উঠতি বাজারের এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এশিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৯টি দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ কম্পিউটার ম্যালওয়্যার সংক্রমিত। অথচ বিশ্বব্যাপী ম্যালওয়্যার সংক্রমণের হার ২০ শতাংশ।