সেই নিয়ম মেনেই যুগের পর যুগ আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে বিশ্বের আটটি আশ্চর্য সৌধ। গিজার বিখ্যাত পিরামিড চত্বরও সেই তালিকায় সগর্বে ধরে রেখেছে নিজের নাম। গর্ব এখনও রয়েছে ঠিকই, তবে পাশাপাশিই গায়ে লাগল কলঙ্কের দাগও!
বিশ্বের অন্যতম বিস্ময় পিরামিড না কি কিঞ্চিৎ বাঁকা! এটাও একটা বিস্মিত হওয়ার মতোই খবর বটে! এতগুলো বছর কেটে গেল, কেউ কোনও দিন এরকম কিছু খুঁত যে রয়েছে, তা টেরই পেল না?
গ্লেন ড্যাশ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং অ্যানসিয়েন্ট ইজিপ্ট রিসার্ট অ্যাসোসিয়েটসের গবেষকরা সম্প্রতি গিজার পিরামিড নিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করে।
গিজার পিরামিড যে সব সাদা পাথর দিয়ে গাঁথা হয়েছে, তার বেশির ভাগই এখন আর নেই। ফলে, একরকম ধ্বংসের মুখে পড়েছে শতাব্দীপ্রাচীন সৌধ। তাই গিজার পিরামিড নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে গবেষণা।
আর, সেই গবেষণাতেই উঠে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেল, গিজার পিরামিডের পশ্চিম দিকটা পূর্ব দিকের চেয়ে সামান্য বেশি লম্বা! তফাতটা যদিও ইঞ্চিতে! তবে, গবেষকদের নজরে আসার পক্ষে যথেষ্ট!
গবেষকরা জানিয়েছেন, গিজার পিরামিডের পূর্ব দিকটার উচ্চটা ৭৫১.৫৬১-৭৫১.৮১৭ ফুট। কিন্তু, পশ্চিম দিকের উচ্চতা ৭৫৫.৮৩৩-৭৫৬.০২৪ ফুট! কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তাদের অনুমান, পিরামিড তৈরির সময়ে শ্রমিকদের কাজে ভুলই এরকম অসামঞ্জস্য তৈরি করেছে।বিষয়টি নিয়ে আপাতত বিস্তারিত গবেষণা চলছে।