প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। মূল্যবান সময়ের সঙ্গে বাঁচাচ্ছে প্রয়োজনীয় অর্থও। বলতে গেলে পুরো বিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে প্রযুক্তির নানান উদ্ভাবন। আবার এ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকেই অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েন।
কখনও প্রযুক্তিগত জটিলতা আবার কখনও মানুষের তৈরি জটিলতায় পড়েন অনেকেই। তবে প্রযুক্তিকে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়, যেগুলো পরবর্তীতে জটিলতা তৈরি করে। জানার অভাব কিংবা বোকামির কারণেই এগুলো তৈরি হয়।
এসব বোকামিগুলোই বদ অভ্যাস হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। প্রযুক্তির এমন ১০টি বদ অভ্যাস নিয়ে আজকের এ আয়োজন।
হাঁটার সময় ফোন ব্যবহার : অনেক মানুষই হাঁটতে হাঁটতে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কথা বলা ছাড়াও এএসএম লেখা বা পড়া কিংবা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকায় পথচারীদের সঙ্গে ধাক্কা খেতে পারেন তারা।
এতে জীবনহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে। আবার আশপাশের মানুষ এতে প্রচুর বিরক্ত হন।
ই-মেইলে ‘রিপ্লে অল’ ব্যবহার : ই-মেইলের এ ফিচার বেশ কাজের। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খুব অল্প সময়ে অনেক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। তবে অনেকেই এটির অপব্যবহার করেন। ইচ্ছেমতো ফিচারটি ব্যবহার করে অনেককে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে দেন।
মাল্টিপল মেসেজ পাঠানো : মোবাইলে অনেকে ঢালাওভাবে মেসেজ পাঠান। এতে যার দরকার তার কাছে যাওয়ার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় কারও কাছে চলে যায় মেসেজটি। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা বিরক্ত হতে পারেন।
অন্যের কম্পিউটারের স্ক্রিনে হাত দেয়া : এ বদ অভ্যাস আছে অনেকেরই। এতে ডিভাইসটির মালিক বিরক্ত হন। কেননা, স্ক্রিনে হাত পড়লে সেখানে ফিঙ্গারপ্রিন্টের কিছু দাগ পড়ে যায়। এ ছাড়াও অনেকে এ ধরনের কাজ পছন্দ করেন না।
গল্পের সময় ফোন ব্যবহার : এ বদ অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। কারও সঙ্গে গল্প করার সময় অনেকেই কোনো কারণ ছাড়াই মোবাইল টেপাটেপি করেন। এতে সঙ্গীরা চরম বিরক্তিবোধ করেন।
বিছানায় ফোন ব্যবহার : এটি বেশিরভাগ ফোন ব্যবহারকারীই করে থাকেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বা শুয়ে শুয়ে অযথাই ফোন নিয়ে নাড়ানাড়ি করেন। এটি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি সঙ্গীকেও বিরক্তির মধ্যে ফেলে দেয়।
বাসে উচ্চস্বরে কথা বলা : বাসের মধ্যে অনেকেই উচ্চস্বরে কথা বলেন। এতে সহযাত্রীরা বিরক্ত হন। বাসে উঠলে অনেক সময় কথা বলার প্রয়োজন হতে পারে। বাসের অনেক শব্দের কারণে কিছুটা গলা উঁচিয়ে কথা বলতে হয়। তবে কখনও উচ্চস্বরে কথা বলা উচিত নয়।
পাবলিক প্লেসে লাউড স্পিকার ছাড়া গান শোনা : অনেকেই পাবলিক প্লেসে হেডফোন ছাড়াই গান শোনেন। যা মানুষের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যে গানটি পছন্দ করেন সেটি অন্যের ভালো না লাগতেও পারে। এ ছাড়া পাশের ব্যক্তিটি গান শোনার মুডে নাও থাকতে পারেন। এ কারণে এ অভ্যাস বাদ দেওয়া উচিত।
ফাঁকা ভয়েস মেইল পাঠানো : ভুল করে কারও কাছে ফাঁকা ভয়েস মেইল যেতেই পারে। এক্ষেত্রে সেই ভয়েস মেইলটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করা বুদ্ধিমানের কাজ। তবে অনেকে ইচ্ছে করে মানুষকে ফাঁকা মেসেজ পাঠান। এতে চরম বিরক্ত হন ভুক্তভোগীরা।
টয়লেটে মোবাইল ব্যবহার : অনেকে টয়লেটে গিয়ে মোবাইলে কথা বলেন। ইন্টারনেটেও বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। প্রযুক্তির একটি অন্যতম বদ অভ্যাস হলো এটি। যত দ্রুত এটি ত্যাগ করা যায় ততই ভালো।