ইলেকট্রিক সিগারেট বা ই-সিগারেটের ডিভাইসটি
ব্যবহারের মাধ্যমে ধূমপান করা ‘ভ্যাপিং’ নামে পরিচিত।
সেন্টারস ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন
(সিডিসি) এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে তারা স্কুল পড়ুয়াদের ই-সিগারেটের
প্রতি আসক্তি নিয়ে সতর্ক হওয়ার কথা জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদসংস্থা
বিজনেস ইনসাইডার-কে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৫ সালে স্কুল পড়ুয়া
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধূমপায়ীদের হার কমে ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৯১ সাল থেকে এই
পর্যন্ত ন্যাশনাল ইয়ুথ রিস্ক বিহেভিয়র সার্ভে অনুসারে সবচেয়ে কম হার।
কিন্তু অপরদিকে প্রায় ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছে,
তারা শেষ ৩০ দিন ধরে ই-সিগারেট ব্যবহার করছে। অধিকাংশ হাইস্কুল শিক্ষার্থীরা
সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহার করায়, এটি তাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি পণ্যে
পরিণত হয়েছে।
ই-সিগারেটের এই আসক্তি নিয়ে সিডিসি সতর্ক করেছে,
কেননা এতে নিকোটিন থাকায় ব্যবহারকারী নেশাগ্রস্ত হয়, যা মস্তিস্ক বিকাশে ক্ষতিকর
এবং এটি ব্যবহারে তামাক জাতীয় পণ্য ব্যবহার চালু রাখার আশংকা বাড়তে পারে।
সিডিসির পরিচালক টম ফ্রাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে
বলেছেন, “বর্তমানে ধূমপায়ীদের সংখ্যা সবচেয়ে কম, এটি একটি সুসংবাদ। তবে, এটি
মর্মান্তিকর যে শিক্ষার্থীরা ই-সিগারেটের মতো নতুন এক ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে অভ্যস্ত
হচ্ছে। আমরা অবশ্যই তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাক ব্যবহার কমানোর ক্ষেত্রে
সাহায্য করতে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিনিয়োগ করা চালু রাখব।”
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা ন্যান্সি ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ভ্যাপিং যুক্তরাষ্ট্রের
উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এত প্রভাব বিস্তার করেছে যে এটি ‘ঝুঁকিপূর্ণ আচরণে’
পরিণত হয়েছে। ব্যাপারটি হল ই-সিগ এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন পণ্যের
জনপ্রিয়তা।”
তিনি আরও বলেন, “আরও বেড়ে যাওয়া এবং আরও তরুণেরা এই
তামাক আসক্ত হওয়ার আগেই এই বিরক্তিকর প্রচলন বন্ধ করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা
করতে হবে।”
২০১৬ সালের মে মাসে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ
অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) ই-সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাক পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে
প্রথমবারের মতো বিধিনিষেধ জারি করেছে। নতুন এই বিধিনিষেধের ফলে ই-সিগারের প্রভাব
কমে যাবে বলে আশা করছে এফডিএ।
ন্যাশনাল ইয়ুথ রিস্ক বিহেভিয়র সার্ভে অনুসারে ২০১৩
সালে হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাড়ি চালানোর সময় টেক্সট বা ইমেইল করার শতকরা
হারে কোনো পার্থক্য আসেনি। তবে, ২০১৫ তে ৩৫টি অঙ্গরাজ্যে যারা ৩০ দিন আগে গাড়ি
চালানো শুরু করেছে তাদের মধ্যে টেক্সট ও ইমেইল করার প্রবণতা ২৬ শতাংশ থেকে ৬৩
শতাংশ এবং ১৮টি শহরে এটি ১৪ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে
২০১৫-তে ড্রাগ ব্যবহার কমে ১৭ শতাংশ হয়েছে এবং যৌনকর্মকাণ্ডের হার ৩০ শতাংশ।