চলতি বছরের মার্চে উন্মোচিত হয় মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের কিছুটা সস্তা আইফোন এসই। দেখতে আইফোন ৫এস-এর মতো হলেও বাজারে আসতেই সাড়া জাগিয়েছে আইফোন এসই।
ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক প্রকাশনা বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, উন্মোচনের তিন মাসের মধ্যে বাজারে বেশ ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে আইফোন এসই। আইফোন এসই সাম্প্রতিক সময়ে আইফোন বিক্রির মন্দা কিছুটা কমাবে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমান বাজারে আইফোন এসই এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, সময়মত গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে হিমশিম খাচ্ছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। অনলাইনে ফোনটি অর্ডার করা হলে সেটি গ্রাহকের হাতে যেতে সময় নিচ্ছে ২ সপ্তাহ। আর পণ্য সরবরাহে এই ধীর গতি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল স্টোরে নয়, বাইরের দেশগুলোতেও রয়েছে বলে জানানো হয়।
বর্তমান সময়ে আইফোন বিক্রির হার কমে যাওয়ায়, আইফোন এসই-এর এমন জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশার বাইরে। কিন্তু সেখানেও গ্রাহকের চাহিদামত সময়মত পণ্য সরবরাহ করতে ব্যার্থ অ্যাপল।
"বর্তমানে চাহিদা অনেক বেশি এবং সরবরাহ হারের চেয়ে অতিরিক্ত। কিন্তু আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকল গ্রাহকের হাতে পণ্য পৌঁছে দিতে কঠোর পরিশ্রম করছি।", বলেন অ্যাপল প্রধান টিম কুক।
ভারত এবং চীনা বাজারে আইফোন এসই-এর জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফোনটি উন্মোচনের পর ওই দেশগুলোতে অ্যাপলের অনলাইন ওয়েবসাইটে গ্রাহকের আনাগোনা বেড়েছে ১৫০ শতাংশ।
আইফোন ৬এস এর বাজার মূল্য যেখানে ৬৫০ মার্কিন ডলার সেখানে আইফোন এসই-এর মূল্য ৩৯৯ ডলার। ফোন দু'টির হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার অনেকটাই এক রকম। তাই কম মূল্যে আইফোন ৬এস-এর সুবিধা, আইফোন এসই-এর জনপ্রিয়তার মূল কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এছাড়াও এর জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে এর ছোট পর্দা এবং আকার।
আইফোন এসই জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে অন্যান্য আইফোন বিক্রির হার লক্ষণীয় মাত্রায় কমে যাওয়ায় মন্দার মধ্যে পড়েছে অ্যাপল। তবে, এসই-এর এই জনপ্রিয়তা মন্দা কাটাতে যথেষ্ট নয় বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞগণ।