Recent

রোজার ৪টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা



পবিত্র মাহে রমজান মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের এক অপূর্ব নিয়ামত। রোজা শুধু পাপমুক্তি ও মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে আসার মাধ্যম নয়, রোজাদারগণের রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা বা হেলথ বেনিফিট। এ ব্যাপারে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) রোজা সম্পর্কে বলেছেন, ‘সোমোওয়া তাশহু’।
যার ইংরেজি অনুবাদ করা হয়েছে ‘ফাস্ট এন্ড বি হেলদি’ অর্থ্যাত রোজা থাকলে স্বাস্থ্য থাকে ভাল। আর এর অর্থ অনেক গভীরে। অর্থ্যাত্ এখানে বুঝানো হয়েছে রোজা হচ্ছে সুস্থ থাকার নিয়ামক। এমনকি গবেষকগণ নানা গবেষণায় দেখেছেন রোজার নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। এ ব্যাপারে ‘ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন হেলথ এন্ড রামাদান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রোজার স্বাস্থ্যকর দিক নিয়ে অন্তত: ৫০টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
তবে ইসলামিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে সব অসুস্থতায় রোজা পালন থেকে বিরত থাকার বিধান রয়েছে এসব ক্ষেত্র ছাড়া রোজা থাকলে উপকারিতা অধিক। রোজার যে চারটি প্রধান উপকারিতার কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে, মন ও হৃদয়ের পরিশুদ্ধতা, রক্তের চর্বির পরিমাণ হ্রাস, মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকা এবং অতিরিক্ত ওজন হ্রাস। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে রোজার যে হেলথ বেনিফিট সম্পর্কে যা বলে গেছেন আজকের বিজ্ঞান তার নিরঙ্কুুশ সত্যতা খুঁজে পাচ্ছে।

এনালস অব নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, রোজাদারগণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সাধারণত: বাসায় প্রস্তুত হেলদি ও পুষ্টিকর খাবার আহার করেন। এতে থাকে খেজুর, বাদাম, ছোলা, স্যুপসহ অন্যান্য উপাদেয় খাবার। গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে রোজাদারগণের এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল শতকরা ৮ ভাগ, রক্তের ভাসমান চর্বি বা ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ শতকরা ৩০ ভাগ হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, রোজা থাকলে রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল এর পরিমাণ শতকরা ১৪ দশমিক ৪ ভাগ বৃদ্ধি পায়। ফলে অন্যান্য সময়ের চেয়ে রোজাদারগণের হার্ট এ্যাটাক ও হূদরোগের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম থাকে।

Discovery Bangladesh Designed by Templateism.com Copyright © 2014

Powered by Blogger.
Published By Blogger Templates20